- 27 February, 2024
- 0 Comment(s)
- 389 view(s)
- APDR
প্রেস বিজ্ঞপ্তি | ২৭।২।২০২৪ | প্রসঙ্গ শিলদার মামলার রায়
Association for Protection Of Democratic Rights( APDR)
গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষা সমিতি
১৮ মদন বড়াল লেন
কলকাতা:৭০০০১২
প্রেস বিজ্ঞপ্তি
প্রসঙ্গ শিলদার মামলার রায়
২০১০ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির ঘটনা। সেই মামলার রায় বেরোলো আজ ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪। ১৪ বছর পর। এই হচ্ছে পৃথিবীর বৃহত্তম গণতন্ত্রের বিচারব্যবস্থা। ঐদিন মাওবাদীরা নাকি শিলদায় ইএফআর ক্যাম্প আক্রমণ করে বেশ কয়েকজন জওয়ানকে হত্যা করে অস্ত্র লুঠ করেছিল। কয়েকজনকে আহত করেছিল।
আজকের রায়ে মেদিনীপুর আদালত অভিযুক্ত ২৩ জনের সবাইকেই দোষী সাব্যস্ত করেছে। সাজা শোনানো হবে কাল ও পরশু। অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছেন ১৪ বছর ধরে টানা বিচারাধীন জেলবন্দি কল্পনা মাইতিও। জামিনে থাকা অর্ণব দাম, বুদ্ধদেব মাহাতো, প্রশান্ত পাত্র সহ সকলকে আজ পুলিশ হেফাজতে নিয়েছে। জেলে পাঠাবে ফের। গুরুতর অসুস্থ বুদ্ধদেব মাহাতো এম্বুলেন্সে করে আদালতে এসেছিলেন। তাঁকেও হেফাজতে নিয়েছে আদালত। গুরুতর অসুস্থ প্রশান্ত পাত্র। তাকেও ফের জেলে পাঠানো হয়েছে। মোট দোষী সাব্যস্ত বন্দির সংখ্যা ২৩ জন।
১৪ বছর ধরে চলা মামলায় আদালতের আজকের রায়ে এই মামলার সঙ্গে যুক্ত সকলেই বিস্মিত। কারণ পুলিশের পেশাদার সাজানো স্বাক্ষীদের বক্তব্যকে আদালত ধ্রুবসত্য হিসাবে ধরে নিয়েছেন। তাদের বিশ্বাস করেছেন। এটা খুবই আপত্তিকর। বিচারের নামে প্রহসন।এটা বিচারের রায় নয়, রাজনৈতিক রায়। আমরা, এপিডিআর, এই রায়ে তীব্র আপত্তি জানাচ্ছি। এবং এই রায়ের বিরুদ্ধে সকল বন্দিদের মুক্তির দাবীতে রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ জানাবো এবং বন্দিদের পরিবার চাইলে আইনী লড়াইয়েও তাঁদের পাশে থাকবো। রাজ্যের সকল গণতান্ত্রিক ও প্রগতিশীল সংগঠন ও ব্যক্তিবর্গের কাছে আবেদন, সবাই এই বিচারের নামে প্রহসনের, এই অন্যায় বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানান, ধিক্কার জানান এই সরকারকে।
এই প্রসঙ্গে আমরা রাজ্য সরকার ও বিচার ব্যবস্থার দ্বিচারিতার প্রতি সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। সুচিত্রা মাহাতো, জাগরী বাস্কে, রঞ্জিত পাল সহ বেশ কয়েকজন অভিযুক্ত সরকারের কাছে আত্মসমর্পণের নাটক করে সরকারি আশ্রয়ে দিব্যি ঘর সংসার করে বিচারের বাইরে রইল। পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে চার্জসীটই দেয়নি। অথচ এই মামলার এফআইআর-এ তাদের নাম আছে। সরকার আদালতে এদের ব্যপারে সম্পূর্ণ নীরব রইল। আদালতে অভিযুক্তদের উকিল বিষয়টা নজরে আনলেও আদালত কোন ব্যবস্থা না নিয়ে নীরব রইল। আদালতের এই আচরণ পক্ষপাত মূলক, রাজনৈতিক। আজকের রায়টাও রাজনৈতিক।
আমরা আবারও দাবী জানাচ্ছি, শিলদা মামলার অভিযুক্তদের সকলকে মুক্তি দেওয়া হোক। তাঁদের সবাইকে স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে দেওয়া হোক। বুদ্ধদেব মাহাতো, প্রশান্ত পাত্রের মত গুরুতর আহত বন্দিদের জেলে হেফাজতে কিছু হলে রাজ্য সরকারই তার জন্য দায়ী থাকবে।
রঞ্জিত শূর,
সাধারণ সম্পাদক,
এপিডিআর।
২৭/০২/২৪