- 27 February, 2020
- 0 Comment(s)
- 987 view(s)
- APDR
দিল্লি: সিএএ-এনপিআর-এনআরসি বিরােধী আন্দোলন ভাঙ্গার জন্য দাঙ্গা লাগানাের সুপরিকল্পিত ছকে এগােচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার
বহু দিল্লিবাসীর কাছে সেখানকার বর্তমান অবস্থা গণহত্যা, দাঙ্গা, আতঙ্ক, উদ্বেগ ও অনিশ্চয়তার -এমনটাই জানাচ্ছেন যারা রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের ফ্যাসিবাদী চেহারাটা প্রত্যক্ষ করছেন সেখানে। যা ঘটছে তার এক ভগ্নাংশ মাত্র সংবাদমাধ্যমের সৌজন্যে আমরা অন্যেরা জেনেছি। দিল্লি যেন ২০০২-এর গুজরাত!
দিল্লি ও অন্যত্র বিধানসভার সাম্প্রতিক নির্বাচনে পরাজয়ে কেন্দ্রের প্রধান শাসকদল ও তার হিন্দুত্ববাদী শাগরেদরাও এনপিআর-এনআরসি রূপায়ন নিয়ে ভয়ঙ্কর দোটানায় পড়েছে। একদিকে হিন্দু-মেরুকরণের রাজনীতি আর তেমন ফলদায়ী হচ্ছে; আবার অন্যদিকে দেশের অর্থনীতি ও আর্থিক সংকটের ক্রমবর্ধমান অভিঘাত তাদের ‘করিৎকর্মা' ভাবমূর্তি ভেঙ্গে দিশাহারা চেহারাটা নগ্ন করে দিচ্ছে। সিএএ-এনপিআর-এনআরসি বিরােধী আন্দোলনও অব্যাহত এবং ক্রমশ ছড়িয়ে পড়ছে। তাই, এক মরিয়া পদক্ষেপ হিসেবে একপ্রকার গণহত্যার চক্রান্তে সুকৌশলে দিল্লিকে ডােবানাের চেষ্টা চলছে। সফল হলে অন্যত্রও একই ব্যবস্থা বলবত হওয়ার আশঙ্কা করছে এপিডিআর।
কেন্দ্রীয় সরকরের রাষ্ট্রনীতি (একদিকে হিন্দুত্ববাদীদের জন্য পুলিশের নিস্ক্রিয়তা এবং অন্যদিকে অন্য সম্প্রদায়ও ভিন্নমত' দমনে তাণ্ডব, বর্বর ধর্মীয় হিংসা, ‘গােলিমারাে শালাঁ কো’ জাতীয় ঘৃণা-বিদ্বেষের অত্যুগ্র হিন্দু-জাতীয়তাবাদ ও গৃহযুদ্ধোন্মাদনা ইত্যাদি) পরিকল্পিতভাবে দিল্লি থেকে আইনের শাসনকে উড়িয়ে দিয়েছে। লক্ষ্য: নাগরিকত্ব আইন বিরােধী আন্দোলনকে দমন করে যেন-তেন প্রকারে এপ্রিল মাস থেকে এনপিআর-এনআরসি চালু করা। কেন্দ্রীয় সরকারের এই বিবেকহীন ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে সব সম্প্রদায়ের সংগ্রামী মানুষ ঐক্যবদ্ধ হয়ে জবাব দেবেন এই আহ্বান রাখছে এপিডিআর।